মাতৃকালীন ছুটির পর কাজে ফিরে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো
কাজে ফেরার জন্য বাস্তবসম্মত কিছু পরামর্শ
- পাওয়া যাবে:
- বাংলা
- English
একসাথে কাজ ও পরিবার সামলানো সবার জন্যই কখনও না কখনও বেশ কঠিন হয়ে ওঠে। আর যে সকল কর্মজীবী মায়েদের সন্তানেরা এখনও বুকের দুধের ওপর নির্ভরশীল, তাদের জন্য কাজে ফেরার সময়টা আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং।
জন্মের এক ঘন্টার মধ্যে বুকের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে একটি শিশুর জীবনের স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ সূচনা নিশ্চিত করা সম্ভব। । মায়ের দুধ প্রতিটি শিশুর জীবনের প্রথম টিকা হিসেবে কাজ করে থাকে; শিশুর মস্তিষ্কের সুষ্ঠু বিকাশে সহায়তা করে; পাশাপাশি, মায়েদের বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা থেকেও রক্ষা করে। সেকারণেই, ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেশের সরকার ও চাকরিদাতাদের প্রতি পরিবারবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে যাতে মায়েরা তাদের সন্তানদের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সময়, জায়গা ও সহায়তা পেতে পারে।
সন্তান জন্মদানের পর মায়েদের কাজে ফেরার সময়টাকে খানিকটা সহজ করার জন্য এখানে কিছু বাস্তবসম্মত পরামর্শ তুলে ধরা হলো।
কাজে ফেরার জন্য পরিকল্পনা
আপনি যে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে চান - সে সিদ্ধান্ত আপনার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীদের জানান এবং ব্রেস্টফিডিং সাপোর্ট গ্রুপ (যেসকল দল বুকের দুধ খাওয়নোর পক্ষে বিভিন্ন সহায়তা করে থাকে) গুলোর সাথে যুক্ত হন। এরা সকলেই আপনাকে কোন না কোন সমস্যার সমাধান দিতে পারবে; আপনার এই নতুন পথচলাকে সহজ করে তুলতে সহযোগিতা করবে।
মায়েরা কীভাবে সন্তানদের বুকের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে পারেন, তার কিছু পদ্ধতি এখানে তুলে ধরা হল:
- মায়েদেরকে তাদের সন্তান নিজেদের কাছে রাখার এবং পুরো দিন ধরে বুকের দুধ খাওয়ানোর সুযোগ করে দিতে হবে।
- কর্মক্ষেত্র যদি বাসার কাছে হয় তাহলে দিনের বেলায় মা বাসায় গিয়ে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন অথবা কেউ একজন শিশুকে মায়ের কাছে/কম©স্থলে নিয়ে আসতে পারেন।
- কর্মক্ষেত্র যদি দূরে হয় তাহলে তার কাছাকাছি কোনো দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুকে রাখা যেতে পারে, যাতে কর্মদিবসে মা সেখানে গিয়ে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন।
- কাজের সময় যদি সন্তানকে বুকের দুধ দেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে মাকে বুকের দুধ সংরক্ষণ করে রাখার পদ্ধতি শিখতে হবে। শিশুর সেবাদানকারীকে ওই দুধ দিয়ে যেতে হবে, যাতে তিনি সময়মতো তাকে খাওয়াতে পারেন।
কাজের জায়গায় সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে সহায়তা
আপনার নিয়োগকর্তা কি কর্মক্ষেত্রে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বা মায়েদের সন্তানদের নিজের সঙ্গে রাখার মতো কোনো সহায়তা দেন?
আপনার নিয়োগকর্তাকে আর কিছু না হলেও অন্তত আইন মোতাবেক মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং কর্মক্ষেত্রে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সুযোগ করে দিতে হবে। আপনার এলাকায় এ বিষয়গুলো কীভাবে পরিচালিত হয়, তার খোঁজ-খবর নিন।
আপনার কর্মক্ষেত্রে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে কী কী নীতি আছে, তা জিজ্ঞেস করুন। সেখানে কি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য আলাদা কোনো কক্ষ আছে? সেটা কীভাবে ব্যবহার করতে হয়? যদি কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো কক্ষ না থাকে তাহলে কোনো একটি ব্যক্তিগত কক্ষে শিশুকে বুকের দুধ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া যায় কি না সে বিষয়ে আপনার ব্যবস্থাপক বা মানবসম্পদ বিভাগের সঙ্গে কথা বলুন।
যদি আপনার কর্মক্ষেত্রে এখনো মায়েদের সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে সহায়তা দেওয়ার নীতি না থাকে তাহলে আপনি তাদের কাছে ইউনিসেফের এ সম্পর্কিত ‘ইউনিসেফের সুপারিশমালা’ তুলে ধরতে পারেন।
শুরুতেই সপ্তাহের সব কর্মদিবসে কাজে যাওয়ার চেয়ে বরং আপনি দেখতে পারেন প্রথম দিকে কিছুটা ছাড় পাওয়া সম্ভব কি না। সম্ভব হলে ধাপে ধাপে কাজে ফিরুন। সাময়িকভাবে পার্ট টাইম কাজ বা বাসা থেকে কাজ আপনাকে কর্মস্থলে সন্তানকে বুকের দুধ দেওয়ার যে সমস্যা তা সামলে নিতে সাহায্য করবে।
আপনার কাজ যদি রাতের বেলায় হয় তাহলে অনুরোধ করে দেখুন আপনাকে সকালে কাজ করার ব্যবস্থা কর দিতে পারে কি না যাতে আপনি রাতে নির্বিঘ্নে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন।
মনে রাখবেন, কর্মক্ষেত্রে আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে নিয়োগকর্তার দায়িত্ব; গর্ভধারণ, সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো ও পারিবারিক অবস্থার কারণে কর্মক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য তারা করতে পারে না।
🤱🏽 শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর (ল্যাকটেশন) কক্ষ কেমন হওয়া উচিত? ইউনিসেফের পরামর্শসমূহ
ল্যাকটেশন (দুধ খাওয়ানোর) কক্ষ কী?
একটি ল্যাকটেশন বা ব্রেস্টফিডিং কক্ষ হতে হবে পরিষ্কার, স্বস্তিদায়ক এবং নিরাপদ যেখানে মা একান্তে ও নিশ্চিন্তে তার সন্তানকে দুধ খাওয়াতে পারবে। কক্ষটিতে, প্রয়োজনে চেপে বা পাম্পের সাহায্যে টেনে বুকের দুধ বের করার (এক্সপ্রেস করা) এবং সেটা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থাও থাকতে হবে।
ব্রেস্টফিডিং (দুধ খাওয়ানোর) কক্ষে কী কী থাকা উচিত?
প্রয়োজনুসারে বুকের দুধ সংরক্ষণ করার জন্য, রেফ্রিজারেটর অথবা ডিপ ফ্রিজ জাতীয় যেকোন কোল্ড স্টোরেজ সিস্টেম এই কক্ষে থাকা আবশ্যক।
তাছাড়া, একক্ষে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার সুবিধা যেমন লিকুইড সোপ ডিসপেনসার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মেঝে পরিষ্কারের সরঞ্জামাদি এবং হাত মোছার জন্য পেপার টাওয়েল থাকবে।
ওই কক্ষে অবশ্যই একটি আরামদায়ক সিঙ্গেল চেয়ার থাকবে, তবে তা ঠিক সোফার মতো হবে না। চেয়ারে বসে, মা তার সন্তানকে আরাম করে দুধ খাওয়াতে পারবেন, প্রয়োজন মতে চেয়ারটির উচ্চতা কম বেশি করতে পারবেন, এবং হেলান দেবার জন্য পেছনে ভালো সাপোর্ট পাবেন। চেয়ারটি এমন উপকরণ দিয়ে তৈরী করতে হবে যা সহজে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা যায়।
স্থান, প্রবেশগম্যতা ও গোপনীয়তা
ব্রেস্টফিডিং বা দুধ খাওয়ানোর কক্ষটি মায়েদের কাজের জায়গার কাছাকাছি হতে হবে; এটি শুধু দুধ খাওয়ানোর জন্যই উপযোগী আলাদা একটি কক্ষ হতে হবে যেটা কিনা টয়লেট থেকে দূরে অবস্থিত থাকবে। কক্ষটিতে সরাসরি প্রবেশ করার সুযোগ থাকতে হবে এবং এটি কেবল শিশুদের দুধ খাওয়ানোর কাজেই ব্যব্হৃত হবে।
গোপণীয়তা নিশ্চিত করার জন্য কক্ষের দরজা ভালোভাবে লাগানোর ব্যবস্থা থাকবে। সন্তানকে দুধ খাওয়ানোর সময় যেন কোনভাবেই বাইরে থেকে কক্ষের ভেতরে দেখা না যায়, সেবিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এই কক্ষে শুধু সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েরা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় নিয়োজিত কর্মীরা যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
আলো, বাতাস ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
কক্ষটিতে সূর্যের আলোর সরাসরি প্রবেশের সুযোগ থাকলে ভালো, নয়তো কৃত্রিম উপায়ে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা ও শীতোতাপ নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা থাকতে হবে; এজন্য এয়ার-কন্ডিশনার ব্যবহার করা যেতে পারে।
এই কক্ষ পরিষ্কারে যেসব সরঞ্জাম ব্যবহার করা হবে, সেগুলো কৃত্রিম গন্ধমুক্ত এবং খাবারের জন্য নিরাপদ পণ্য (ফুড-সেফ প্রোডাক্ট) হতে হবে।
কক্ষের দেওয়াল, মেঝে ও আসবাবগুলো হতে হবে মসৃণ, যাতে সেগুলো সহজে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা যায়। ধোয়া যায় না এমন কাপড় বা সামগ্রী (কার্পেট বা শতরঞ্জি, চেয়ারের কভার, পর্দাসহ অন্যান্য জিনিস যেগুলো ধুলো-ময়লা টেনে নেয়) সেগুলো ব্যবহার করা ঠিক হবে না।
কাজে ফেরার আগেই যেসব বিষয় ঠিক করে নিতে হবে
আপনার কর্মদিবসের প্রতিদিনের কাজের একটি ছক তৈরী করে, সেখানে শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময়গুলো অন্তর্ভুক্ত করুন। দুধ খাওয়ানোর সময়গুলোর জন্য অ্যালার্ম সেট করুন এবং তখন কোন কাজ কিংবা মিটিং না রাখার চেষ্টা করুন ।
কাজে ফেরার আগে-ভাগে, বাসায় নতুন সময়সূচি অনুযায়ী কাজ করার একটা মহড়া করে দেখতে পারেন। এটা আপনাকে চ্যালেঞ্জগুলো বুঝতে এবং সমাধান বের করতে সহায়তা করবে।
যেগুলো বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে
- বুকের দুধ যেন পোশাকে না লাগে, সেজন্য ব্রার সঙ্গে প্যাড বা কাপড় ব্যবহার করুন।
- দুধ সংরক্ষণের পাত্র।
- লেবেল ও কলম।
- ফ্রোজেন আইস/জেল প্যাক রয়েছে এমন ইনস্যুলেটেড কুলার।
- যদি কোনো ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহার করেন তাহলে সেটা পরিষ্কার করার প্রয়োজনীয় উপকরণ রাখুন।
মায়ের দুধ পরিষ্কার গ্লাস বা ঢাকনাওয়ালা বিপিএ মুক্ত প্লাস্টিক বোতলে রাখা যায়। দুধ সংরক্ষণের পাত্র সাবান ও গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। বুকের দুধ ফ্রিজে রাখার জন্য মিল্ক স্টোরেজ ব্যাগও পাওয়া যায়। সব সময় পাত্রের গায়ে সংরক্ষণের তারিখ ও সময় লিখে লেবেলিং করতে হবে। তবে তা এমন উপকরণ দিয়ে করতে হবে যেন লেখা ছড়িয়ে কিংবা লেবেলগুলো ভিজে নষ্ট না হয়ে যায়, বিশেষ করে যখন দুধটি ফ্রিজে রাখা হবে। (উদাহরণস্বরূপ মাস্কিং টেপের ওপর একটি পার্মানেন্ট মার্কার দিয়ে লেবেল করা যেতে পারে)।
কর্মক্ষেত্রে বুকের দুধ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ
আপনার সন্তানকে সাধারণত যতবার দুধ খাওয়ান ততবারই বুকের দুধ সংগ্রহ করুন এবং তা বাতাস ঢুকতে পারে না এমন পাত্রে সংরক্ষণ করুন। দুধটি সংগ্রহের তারিখ ও সময় উল্লেখ করে লেবেলিং করতে ভুলবেন না।
দুধের পাত্রটি কোনো একটি রেফ্রিজারেটরের ভেতর অথবা ইনস্যুলেটেড ব্যাগ বা আইস ব্যাগের মতো কোনো একটি কুলারের মধ্যে রাখতে হবে। রেফ্রিজারেটরের মধ্যে রাখার সময় দুধের পাত্রটি এমন জায়গায় রাখুন যেখানে তাপমাত্রা সব সময় একই থাকে। কখনোই তা রেফ্রিজারেটরের দরজায় রাখবেন না। কারণ প্রতিবার দরজাটি খোলার সময় সেখানে তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে যায় । আর তাতে দুধে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর ঝুঁকিও বেড়ে যায় যেতে পারে।
বুকের দুধ পরিবহন ও বাসায় সংরক্ষণ
ইনস্যুলেটেড কুলারের মধ্যেই সংগ্রহ করা বুকের দুধ বাসায় নিয়ে যেতে হবে।
বুকের দুধ সংরক্ষণ নিয়ে নিজ দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যে নির্দেশনা রয়েছে, সেটা দেখে নিতে পারেন। এটা দেশভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। একটি সাধারণ অ্যাপ্রোচ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের পরামর্শ হলো:
১. বুকের দুধ সংগ্রহের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনার সন্তানকে সেটা খাওয়ানো উত্তম। দুধটি সংরক্ষণ করতে হবে রেফ্রিজারেটরের ভেতরে পেছন দিকে, যেখানে তাপমাত্রা একই থাকে।
২.বুকের দুধ যদি সংগ্রহের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খাওয়ানো হবে না বলে মনে হয়, সেক্ষেত্রে দুধ ফ্রিজার/ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে ভালো থাকবে। অপচয় রোধ এবং বার বার ফ্রিজ থেকে বের করে আবারও ফ্রিজে যেন না রাখতে হয়, সেজন্যে অল্প অল্প করে আলাদা পাত্রে ফ্রিজে রাখা ভালো।
৩. যদি কোনো রেফ্রিজারেটর না থাকে তাহলে সংগ্রহ করা বুকের দুধ কক্ষের তাপমাত্রায় প্রায় আট ঘণ্টা পর্যন্ত রাখা যায়।
যখনই পারবেন সরাসরি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান
কর্মক্ষেত্রে বুকের দুধ সংগ্রহ (এক্সপ্রেসিং) করলে এবং যখনই পারবেন তখনই সরাসরি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালে মায়র দুধ উৎপাদিত হওয়াটা ঠিক থাকবে। যখনই মায়ের বুকের দুধ নিয়মিত বের করা না হবে তখন স্তনের নালীগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে, সেখানে ব্যাথা হতে পারে এবং এতে বুকে দুধ আসা কমে যেতে পারে।
কাজে যাওয়ার আগে এবং বাসায় ফিরে সন্তানকে সরাসরি বুকের দুধ খাওয়ানোটা সবচেয়ে ভালো। আপনার সন্তানের সেবাদানকারীকে বলুন, আপনি বাসায় ফেরার এক ঘণ্টা আগে থেকে যেন তাকে ভরপেট না খাওয়ায়। অন্যত্থায় আপনার সন্তানের পেট ভরা থাকতে পারে এবং আপনি ফিরলে সে আর বুকের দুধ খেতে আগ্রহী নাও হতে পারে।
যতটা সম্ভব রাতে সরাসরি শিশুকে বুকের দুধ দেবেন। কারণ তা দুধ তৈরিতে সহায়তা করে।
সন্তানের জন্মের পর আপনার কাজে ফেরাটা সহজ নয়। কোনো কোনো সময় এটা খুবই কঠিন মনে হতে পারে। মনে রাখবেন, এই সময়টা সাময়িক; পুরো বিষয়টির সঙ্গে সামলে নিতে আপনার কিছুটা সময় লাগবে।
মনে রাখবেন, শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোটা শুধু নারীর একার দায়িত্ব নয়- তাই পরিবারের সদস্য, বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীদের কাছ থেকে এ বিষয়ে সহযোগিতা চাইতে দ্বিধা করবেন না।